মোহাম্মদ আশরাফুলকে জাতীয় দলে নেওয়া হবে কি হবে না, উচিত কি উচিত নয়, এ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে চলছে বিতর্ক। সেই বিতর্কের মধ্যেই বিপিএলে দল পেয়ে গেলেন স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য পূর্ণ মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। বিপিএলের আজকের প্লেয়ার্স ড্রাফটে তাঁকে দলে টেনেছে চিটাগং ভাইকিংস। এবারের বিপিএলে মুশফিকুর রহিমের সতীর্থ তিনি।
২০১৩ সালে বিপিএলের দ্বিতীয় আয়োজনে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। প্রথম দুটি আসরে তিনি ছিলেন বিলুপ্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা গ্লাটিয়েটরসের খেলোয়াড়। কেবল আশরাফুলই নন, ম্যাচ গড়াপেটাসহ নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছিল সেই ফ্র্যাঞ্চাইজিও। আশরাফুলের নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করায় তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। বহিষ্কার করা হয় ঢাকা গ্লাটিয়েটরসকেও। পাঁচ বছর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ করে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পুনরজ্জীবিত করারই স্বপ্ন দেখছেন ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
গত ১৩ আগস্ট শেষ হয় আশরাফুলের পাঁচ বছর মেয়াদি নিষেধাজ্ঞা। এর আগে অবশ্য ২০১৬ সালে তিনি জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলার সুযোগ পান। খুব ভালো খেলতে পারেননি। গত দুটি বিপিএলে তিনি খেলোয়াড় ড্রাফটে ছিলেন না। এ বছর দেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সুযোগ পাওয়াটা আশরাফুলের জন্য বড় সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাওয়াই।
উল্লেখ্য, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ মৌসুমে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের হয়ে খেলেছিলেন আশরাফুল। তবে কলাবাগানের অবনমনই হয়েছে। আশরাফুল পাঁচটি সেঞ্চুরি করলেও তাঁর স্ট্রাইকরেট নিয়ে আশান্বিত হওয়ার মতো কিছু ছিল না। এখন দেখা যাক বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে আশরাফুল নিজেকে পরিপূর্ণ রূপে মেলে ধরতে পারেন কি না!